জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, জ্ঞানে-বিজ্ঞানে অগ্রগামী, প্রযুক্তিভিত্তিক দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে জেলা প্রশাসকেরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন। শাসক নয়, সেবকরূপে জেলা প্রশাসকদের জনগণের জন্য কাজ করে যেতে হবে।
সোমবার (৪ মার্চ) রাতে জাতীয় সংসদের শপথ কক্ষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উদ্যোগে ‘জেলা প্রশাসক সম্মেলন ২০২৪’ উপলক্ষে জেলা প্রশাসকদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন স্পিকার।
এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী এমপি উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব এবং স্পিকারের একান্ত সচিব এম এ কামাল বিল্লাহের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আব্দুস সালাম।
সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন, সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান এবং খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মো. হেলাল মাহমুদ শরীফও বক্তব্য প্রদান করেন।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, জনগণ ও সরকারের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করার কাজে জেলা প্রশাসকদের ভূমিকা অনন্য।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় জেলা প্রশাসকগণ করোনা অভিঘাত মোকাবেলা করেছেন, সরকারের নীতি ও উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নেও নিবেদিত হয়ে কাজ করে যাচ্ছেন।
স্পিকার বলেন, সংবিধান দেশের সর্বোচ্চ আইন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পরের দিনই সংবিধান রচনায় পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। জাতীয় সংসদ আইন প্রণয়ন ও সরকারের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে।
তিনি বলেন, জনগণের নিকট সরকারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণে প্রধানমন্ত্রী অধিবেশন চলাকালীন প্রতি বুধবার প্রশ্নোত্তর পর্বে ত্রিশ মিনিটব্যাপী উত্তর প্রদান করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রীকে সরাসরি প্রশ্ন করা যায়, যেসময়ে মূলত বিরোধীদলীয়রা প্রশ্ন করেন। জেলা প্রশাসক হিসেবে নারী কর্মকর্তারা অত্যন্ত দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করছেন, যা গর্বের।
তিনি বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য তরুণ প্রজন্মের মাধ্যমে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডকে কাজে লাগিয়ে জেলা প্রশাসকদের সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এগিয়ে যেতে হবে।
সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, বিভাগীয় কমিশনারগণ, জেলা প্রশাসকগণ, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণসহ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।