বার্তা বিভাগ, নিউজফেস বিডি ডট কম।
আন্তর্জাতিক সেবা সংগঠন এপেক্স বাংলাদেশ-এর ২০২৪ বর্ষের জন্য সর্ব সম্মতিক্রমে জাতীয় সচিব নির্বাচিত করা হয় বিশিষ্ট সংগঠক, সূফি ব্যক্তিত্ব ও বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান শাহজাদা সৈয়দ বশির আহম্মদ মনি (সূফি মনি)-কে। ঢাকার সেন্ট্রাল ইন হোটেলের সম্মেলন কক্ষে গত ৮ মার্চ এ দায়িত্ব প্রদান করা হয়।
দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের দুই শতাধিক এপেক্স নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে ঝাঁকজমকপূর্ণ ৪৮তম জাতীয় সম্মেলনে বিষয়টি ঘোষণা করেন এপেক্স বাংলাদেশের সদ্য অতীত জাতীয় সভাপতি এপেক্সিয়ান রূহুল মঈন চৌধুরী। উক্ত গুরু দায়িত্ব অর্পনে সূফি মনির উপর আস্থা রাখায় তিনি জাতীয় সভাপতি, জাতীয় সহ-সভাপতি, সদ্য অতীত জাতীয় সভাপতি, এপেক্স ক্লাব অব বার- আউলিয়া সহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন।
সূফি মনি একজন আপাদমস্তক সংগঠক হিসেবে চট্টগ্রামের স্বনামধন্য এপেক্স ক্লাব অব বার-আউলিয়ার হয়ে দীর্ঘদিন দক্ষতার সাথে কাজ করেন এবং ক্লাবের সর্বোচ্চ দায়িত্ব পালন করেন। ইতোপূর্বে তিনি তার যোগ্যতা ও দক্ষতার বলে ক্লাব পর্যায়ের গন্ডি পেরিয়ে পরবর্তীতে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলার সমন্বয়ে গঠিত এপেক্স বাংলাদেশ জেলা-০৩-এর দুই-দুইবার সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। পরিশেষে তার যোগ্যতার আরো শিখর অতিক্রম করে আজ জাতীয় পর্যায়ে পুরো এপেক্স এসোসিয়েশনের নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুত। উল্লেখ করা যায় যে- ইতোমধ্যে তিনি জাতীয় পর্যায়ে এপেক্স বিতর্ক প্রতিযোগীতায় চ্যাম্পিয়ন এবং জাতীয় লীডারশীপ প্রশিক্ষণে বেস্ট এওয়ার্ড অর্জন সহ ক্লাব, জেলা ও জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন সম্মাননা লাভ করেন। উল্লেখ করা যায় যে- ইতোমধ্যে তিনি দুইবার ন্যাশনাল অফিসিয়াল হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
গঠনতন্ত্রের ধারাকে সমুন্নত রাখতে নিয়মানুযায়ী রাজধানীর কোন ক্লাবে বদলী হয়ে দায়িত্ব পালনের বাধ্যবাদকতা থাকায় তিনি এ বর্ষে ঢাকা জেলার স্বনামধন্য এপেক্স ক্লাব অব জাহাঙ্গীরনগর-এর হয়ে কাজ করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। সূফী মনি’র প্রতি আগ্রহের জন্য তিনি এপেক্স ক্লাব অব জাহাঙ্গীরনগরের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করন। দায়িত্ব পালনে তিনি সকলের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।
সংবাদ প্রতিনিধির সাথে সাক্ষাতকালে, তরিকাপন্থি অরাজনৈতিক জাতীয় সংগঠন বাংলাদেশ তরিকত পরিষদের কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি সম্পাদক শাহ মিডু এ বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেন, আমাদের সকল চট্টগ্রামবসীর জন্য এটি একটি গর্বের বিষয়।”
শাহ মিডু আরও বলেন, “ সূফী মনির এ অর্জনকে আমি কেবল একটি সামাজিক ক্লাবের সদস্যের অর্জন মনে করছিনা। বরং আমরা যারা তারিকাপন্থি- সূফিবাদী মানুষ রয়েছি, দেশব্যপী আর্তমানবতার সেবায় নিরলস কাজ করছি, আমরা মনে করি- তার এ অর্জন সার্বিক সূফী সমাজের জন্য অনন্য সম্মান বয়ে এনেছে। আমরা তার উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করছি।”
.